আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা,তোমরা সবাই কেমন আছ?
চলে আসলাম পছন্দের এই সাইটে।আজকে আমরা আলোচনা করবো,ইসলামিক জীবন-যাপনে প্রয়োজনীয় কিছু প্রশ্ন এবং উওর নিয়ে।
১.মুমূর্ষ অবস্থায় ঋণের কথা স্বরণ হলে কি করবে?
উওর-মুমূর্ষ অবস্থায় নিজের ঋণ থাকলে তা পরিশোধ এবং নামায,রোযার ফেদিয়া প্রদান বা যে কোন মালী ইবাদত অনাদায়ী থাকলে তা আদায় করার ওছীয়াত করবে।সে যদি এতটুকু সম্পদ রেখে যায় যা দ্বারা এসব আদায় করা সম্ভব,তাহলে মৃত্যুর পূর্বে এ ওছিয়াত করা ওয়াজিব।(দেখুন-আদ্দুররুল মুখতার)
২.মুমূর্ষ রোগীর পাশে কি সূরা পাঠ করবে?
উওর-মুমূর্ষ রোগীর পাশে সূরা ইয়সীন পাঠ করা মুস্তাহাব।এতে মৃত্যু যন্ত্রণা হ্রাস পায়।রোগী ছোট হোক বা বড় উভয়ের ক্ষেত্রে এটা করা মুস্তাহাব।(দেখুন-আহসানুল ফাতওয়া)
৩.শহীদ কাকে বলে?
উওর-শহীদ ঐ ব্যক্তি,) যাকে মুশরিকরা হত্যা করেছে কিংবা যুদ্ধের মাঠে মৃত পাওয়া গেছে আর তার দেহে চিন্হ রয়েছে।কিংবা মুসলমানরা তাকে অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে এবং তাকে হত্যা করার কারণে দিয়াত ওয়জিব হয়নি।(দেখুন-হেদায়া)
৪.যাকে শহরে নিহত অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে গোসল দেয়া হবে কি না?
উওর-এমন ব্যক্তিকে গোসল দেয়া হবে।(দেখুন-রদ্দুল মুহতার)৫.যাকাত কখন ফরজ হয়?
উওর-স্বাধীন জ্ঞান সম্পন্ন,প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম ব্যক্তি যখন নিসাব পরিমাণ মস্পদের পূর্ণ মালিক হল এবং তার উপর এক বছর অতিক্রান্ত হয় তখন ঐ ব্যক্তির সম্পদের উপর যাকাত ফরজ হয়।(দেখুন-হেদায়া)
৬.যাকাতের নেসাব কতটুকু?
উওর-কোন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন নর-নারীর কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঋণ মুক্ত সাড়ে ৫২ তোলা রুপা বা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা তার সমমূল্যের ব্যবসায়ী সম্পদ বা টাকা পয়সা থাকবে সে নেসাব পরিমান মালের মালিক হিসেবে গণ্য হবে।(দেখুন-ফাতওয়ায়ে আলমগীরী)
৭.সম্পদের কি পরিমাণ অংশ যাকাত হিসেবে দিতে হয়?
উওর-সম্পদের ৪০ ভাগের একভাগ যাকাত হিসেবে দিতে হবে।অর্থাৎ শতকরা ২.৫০ টাকা যাকাত দিতে হবে।(দেখুন-হেদায়া)
৮.আপন বোন বা আপন ভাইকে যাকাতের টাকা দেয়া যাবে কি না?
উওর-হ্যাঁ,আপন ভাই, বোনকে যাকাতের টাকা দেয়া যাবে।(দেখুন-ফাতওয়ায়ে শামী)
৯.মুসাফির ব্যক্তি কে যাকাতের টাকা দেয়া যাবে কি না?
উওর-মুসাফির ব্যক্তি সে বাড়িতে সম্পদশালী হলেও সফরে রিক্ত হস্ত হয়ে পড়লে তাকে যাকাতের টাকা দেয়া যাবে।(দেখুন-ফাতওয়ায়ে শামী)
১০.যাকাতের নেসাব পরিমাণ মালের মালিক ব্যক্তিকে যাকাত দেয়া যাবে কি না?
উওর-যার নিকট নেছাব পরিমাণ অর্থ/সম্পদ আছে তাকে যাকাত দেয়া যাবে না।(দেখুন-শরহুল বিকায়া)
তো বন্ধুরা আজ পর্যন্তই,পরবর্তীতে আরও নতুন নতুন প্রশ্ন ও উওর নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে।
চলে আসলাম পছন্দের এই সাইটে।আজকে আমরা আলোচনা করবো,ইসলামিক জীবন-যাপনে প্রয়োজনীয় কিছু প্রশ্ন এবং উওর নিয়ে।
১.মুমূর্ষ অবস্থায় ঋণের কথা স্বরণ হলে কি করবে?
উওর-মুমূর্ষ অবস্থায় নিজের ঋণ থাকলে তা পরিশোধ এবং নামায,রোযার ফেদিয়া প্রদান বা যে কোন মালী ইবাদত অনাদায়ী থাকলে তা আদায় করার ওছীয়াত করবে।সে যদি এতটুকু সম্পদ রেখে যায় যা দ্বারা এসব আদায় করা সম্ভব,তাহলে মৃত্যুর পূর্বে এ ওছিয়াত করা ওয়াজিব।(দেখুন-আদ্দুররুল মুখতার)
২.মুমূর্ষ রোগীর পাশে কি সূরা পাঠ করবে?
উওর-মুমূর্ষ রোগীর পাশে সূরা ইয়সীন পাঠ করা মুস্তাহাব।এতে মৃত্যু যন্ত্রণা হ্রাস পায়।রোগী ছোট হোক বা বড় উভয়ের ক্ষেত্রে এটা করা মুস্তাহাব।(দেখুন-আহসানুল ফাতওয়া)
৩.শহীদ কাকে বলে?
উওর-শহীদ ঐ ব্যক্তি,) যাকে মুশরিকরা হত্যা করেছে কিংবা যুদ্ধের মাঠে মৃত পাওয়া গেছে আর তার দেহে চিন্হ রয়েছে।কিংবা মুসলমানরা তাকে অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে এবং তাকে হত্যা করার কারণে দিয়াত ওয়জিব হয়নি।(দেখুন-হেদায়া)
৪.যাকে শহরে নিহত অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে গোসল দেয়া হবে কি না?
উওর-এমন ব্যক্তিকে গোসল দেয়া হবে।(দেখুন-রদ্দুল মুহতার)৫.যাকাত কখন ফরজ হয়?
উওর-স্বাধীন জ্ঞান সম্পন্ন,প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম ব্যক্তি যখন নিসাব পরিমাণ মস্পদের পূর্ণ মালিক হল এবং তার উপর এক বছর অতিক্রান্ত হয় তখন ঐ ব্যক্তির সম্পদের উপর যাকাত ফরজ হয়।(দেখুন-হেদায়া)
৬.যাকাতের নেসাব কতটুকু?
উওর-কোন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন নর-নারীর কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঋণ মুক্ত সাড়ে ৫২ তোলা রুপা বা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা তার সমমূল্যের ব্যবসায়ী সম্পদ বা টাকা পয়সা থাকবে সে নেসাব পরিমান মালের মালিক হিসেবে গণ্য হবে।(দেখুন-ফাতওয়ায়ে আলমগীরী)
৭.সম্পদের কি পরিমাণ অংশ যাকাত হিসেবে দিতে হয়?
উওর-সম্পদের ৪০ ভাগের একভাগ যাকাত হিসেবে দিতে হবে।অর্থাৎ শতকরা ২.৫০ টাকা যাকাত দিতে হবে।(দেখুন-হেদায়া)
৮.আপন বোন বা আপন ভাইকে যাকাতের টাকা দেয়া যাবে কি না?
উওর-হ্যাঁ,আপন ভাই, বোনকে যাকাতের টাকা দেয়া যাবে।(দেখুন-ফাতওয়ায়ে শামী)
৯.মুসাফির ব্যক্তি কে যাকাতের টাকা দেয়া যাবে কি না?
উওর-মুসাফির ব্যক্তি সে বাড়িতে সম্পদশালী হলেও সফরে রিক্ত হস্ত হয়ে পড়লে তাকে যাকাতের টাকা দেয়া যাবে।(দেখুন-ফাতওয়ায়ে শামী)
১০.যাকাতের নেসাব পরিমাণ মালের মালিক ব্যক্তিকে যাকাত দেয়া যাবে কি না?
উওর-যার নিকট নেছাব পরিমাণ অর্থ/সম্পদ আছে তাকে যাকাত দেয়া যাবে না।(দেখুন-শরহুল বিকায়া)
তো বন্ধুরা আজ পর্যন্তই,পরবর্তীতে আরও নতুন নতুন প্রশ্ন ও উওর নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে।
0 Comments