আস্সালামু আলাইকুম
সুপ্রিয় বন্ধুরা, আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। ভালো না থাকলে আপনার সাথে আছি আমি রাকিবুল হোসাইন।“বেলা ফুরাবার আগে”
আরিফ আজাদ স্যারের অসাধারণ একটি বই, যেটি একজন পথহারা প্রতিকের না পড়লেই নয়।নিজেকে আবিষ্কারের একটি আয়না। যে ভুল আর ভ্রান্তির মোহে, অন্ধকারের যে অলিগলিতে আমাদের এতোদিনকার পদচারণা, তার বিপরীতে জীবনের নতুন অধ্যায়ে নিজের নাম লিখিয়ে নিতে একটি সহায়ক গ্রন্থ এই বই, ইন শা আল্লাহ।
বইটি কাদের জন্য?
ভুলোমনা একঝাঁক তারুণ্যের জন্য এই বই। যে ভুলের গহ্বরে তারা জীবনের বসন্তগুলোকে পার করছে, সেই ভুল থেকে তাদের ‘বেলা ফুরাবার আগে’ টেনে তুলতেই এই বইটার অবতারণা।দিনশেষে যেদিন অক্সিজেন স্বল্পতায় ভুগে স্তব্ধ হয়ে যাবো, সেদিন সকলের ব্যথিত হৃদয়ে আমার জন্য সহানুভূতি থাকলেও কেউ তার অংশ থেকে আমাকে এক সেকেন্ড এর জন্যেও অক্সিজেন ধার দেবে না।
আচ্ছা অক্সিজেন এর ঋণ শোধ করা যায়???
গুনে গুনে কি অক্সিজেন এর পরিমাণ মাপা যাবে? যেদিন আমার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে আমার দেহ আর অক্সিজেন চাইবে না সেদিন পুরো জগতের অক্সিজেন জড়ো করেও কি আমাকে কেউ ফিরিয়ে আনতে চাইবে?
“না!” চাইবে না।
কারণ সেদিন তাদের চেষ্টা আমার কোন কাজেই আসবে না। যেদিন আমার বেলা ফুরিয়ে যাবে, সেদিনও পৃথিবী তার নিজ গতিতে এগিয়ে যাবে। আমার দুনিয়াবি জীবনের স্তব্ধতাকে আর তোয়াক্কা করা হবে না।
মুমিন কখনোই বেলা ফুরাবার সময়টুকুকে বিষাদে পরিপূর্ণ দেখতে চায় না।
একটা সম্পূর্ণ নতুন,অদেখা অধ্যায় দিয়েই শুরু হয়ে যায় এক নতুন পথচলা। এই পথ চলার সিলেবাস ধরিয়ে দেওয়ার পরেও আমরা যারা নিজেদের প্রস্তুত করিনি, তারা কি শেষ মুহূর্তে নির্ঘাত ফেইল জেনেও আরেকটু সময় চাইবো না? আরেকটু অক্সিজেন ধার করে হলেও আমরা পাশ করার চেষ্টা করবো না?
তখন কি আমাকে কেউ অক্সিজেন ধার দেবে?
একদম নিকটাত্মীয়রাও কি দেবে না যাদের জন্য এ জীবনের সিংহভাগ ব্যয় করেছিলাম?
যাদের উপকারে ছুটে গিয়েছিলাম তারা কি আমার এই চরম বিপদের দিনে আমাকে সাহায্য করবে না???
উত্তরটা হচ্ছে, ” না। ”
সেদিন কারোই ক্ষমতায় অতিরিক্ত অক্সিজেন বরাদ্দ থাকবে না যে আমাকে ধার দিতে পারবে।
জীবনের শেষ নিঃশ্বাসটুকুকে তৃপ্তি ভরে অনুভব করে কি মুমিন বান্দা দুনিয়ার পাঠ চুকিয়ে নিতে চাইবে না?
যেদিন আমার বেলা ফুরাবার সময় আসবে সেদিন কি আমি খুশিমনে বলতে পারবো?
“আমাকে আমার রবের সন্তুষ্টির দিকে নিয়ে চলুন।”
মুসলিম উম্মাহ এর চরম সংকটপূর্ণ সময়ে ব্যাস একটুখানি সচেতনতাই তাদেরকে ফিরিয়ে নিতে পারে পরম করুনাময় মহান রাব্বুল আ’লামিনের ভালোবাসার সান্নিধ্যে।
হে মুসলমান,
মুসলমান হয়ে জন্ম নিয়েও মুনাফিকের ন্যায় আচরণ করে কি লাভ?
এখনো কি সময় হয়নি ফিরে আসার?
নাকি অপেক্ষা করবে সেই অন্তিম সময়ের,যেদিন অক্সিজেন ধার চেয়ে রিক্তহস্তে দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হবে।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা সকলকে সহীহ্ বুঝ দান করুন।
আমাকে এবং সকল অবুঝ হৃদয়কে হিদায়াতের পরশে রঙিন করে দিন।
সহজ সরল পথে অবিচল থাকার তৌফিক দান করুন।
আমার রিভিউটি না বুঝলে, বইটি পড়ে দেখবেন। অসম্ভব ভালো একটি বই। বইটি পড়ে আপনার মনে হবে এটি আপনার জন্যই লিখা হয়েছে।
বইটির পিডিএফ আছে আমার কাছে, দেওয়ার অনেক ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু লেখকের অনুমতি এখনো পাওয়া যায়নি বলে দিতে পারছিনা।
অবশ্যই বইটি কিনে পড়ে ফেলবেন, বইটি কিনে ও পড়ে আশা করি আপনার টাকা ও সময় অপচয় হবেনা। হেদায়েতের পথ আপনার জন্য খোলা রয়েছে। যদি বইটি পড়ে একটু হেদায়েত প্রাপ্ত হন।
বইটির সূচিপত্রে যা যা আছে
তবে একটিমাত্র অধ্যায় দিতে পারি, যেটাতে লেখকের অনুমতি রয়েছে। নিচ থেকে ডাউনলোড করে নিন।
ড্রাইভ লিংক (মন খারাপের দিনে অংশটুকু) : Download
আশা করি পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থকবেন।
আল্লাহ্ হাফেজ।
0 Comments